ছবি তুলেই প্রান হারালো চা দোকানি ৬ জন গ্রেফতার
বি এ রায়হান, গাজীপুরঃ গাজীপুরের টঙ্গীতে সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়ার ছবি তুলে প্রান হারালো চা দোকানি সোলাইমান(২১)। বুধবার রাতে টঙ্গীর দত্তপাড়া কসাই বাড়ি রেলগেট এলাকায় সশস্ত্র মহড়ার ছবি তোলার অপরাধে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। একদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। নিহত সোলাইমান(২১) ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার পলসা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সে দত্তপাড়া কসাইবাড়ি এলাকার মনিরের ভাড়া বাসায় বসবাস করে একই এলাকায় রেললাইনের পাশে চায়ের দোকান করতো। আটককৃতরা হলো- টঙ্গী মরকুন তিস্তারগেট এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে সজল মিয়া (২৮) ও নোয়াগাঁও এলাকার বাহরাইলের বাড়ির মৃত জামিল মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (২৪), জামালপুরের বকসিগঞ্জ থানার সারমারা গ্রামের ওজির আলীর ছেলে রুবেল(৩৩) ও ময়মনসিংহ সদরের রাগবপুর গ্রামের মৃত আঃ রশিদের ছেলে রাশেদুল(২৪), আঃ হক ও রাজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় দত্তপাড়া কসাইবাড়ি এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছিল সজল উরফে লেংড়া সজল, বরিশাইল্লা সুজন, রোবু, রাজন সজিবের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। সেসময় তাদের মহড়ার ছবি তোলায় সন্ত্রাসীরা সোলাইমানকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। একদিন পর সেখানে তার মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী জানায়, সজল উড়ফে লেংড়া সজল এলাকার একজন চিহ্নিত ছিনতাইকারী তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ছিনতাই এর অভিযোগ রয়েছে সম্প্রতি তার নেতৃত্বে তৈরী হয়েছে ৩০/৪০ জনে একটি সক্রিয় গ্রুপ যারা পুরো এলাকাজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। এই গ্রুপের অন্য সদস্যরা হলো, উজ্জ্বল, সুজন ওরফে বরিশাইল্লা সুজন, রাজন ওরফে ময়মনসিঙ্গা রাজন, সজিব, রবু, শিমুল, মতি ওরফে বোমা মতিসহ এলাকার উঠতি বয়সী অনেক তরুন। এলাকায় ছিনতাই, মাদক কারবার ও আধিপত্য বিস্তার করতে প্রায় সময় তাদের এমন সশস্ত্র মহড়া দেখা যায়। এছাড়া চলন্ত ট্রেন থেকে মোবাইল ফোন ছিনতাই করে এই গ্রুপটি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে এযাবৎ ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনকে তিন দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকি দুইজন আসমীকে আদলতে প্রেরন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, পাশাপাশি এলাকার দুইটি গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।